ধীর গতিতে সড়ক সংস্কারে ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ


নাটোর অফিস ॥
মাত্র পাঁচ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের দীর্ঘসূত্রিতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই পথে চলাচলকারী বড়াইগ্রাম পৌরবাসীসহ পাশ্ববর্তী এলাকার হাজারো মানুষ। ঠিকাদারের অবহেলা আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনাই এর জন্য দায়ী। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার থানার মোড় থেকে মানিকপুর পর্যন্ত ব্যস্ততম সড়কটি এটি।
এই সড়কের উভয় পাশে রয়েছে বড়াইগ্রাম পৌরভবন হাসপাতাল, থানা, সাবরেজিষ্ট্র অফিস, তিনটি বাজার, সরকারী কলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। অথচ শুরুর দুই বছরেও গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় বৃষ্টিতে কাদাপানি আর রোদে ধুলা-বালিতে নাকাল হচ্ছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ২০১৮ সালের ২ নভেম্বরে সড়কটির সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুল আলম ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যায়ে সড়কটি সংস্কারের দায়িত্ব পায়। ২০১৯ সালের মার্চে ঠিকাদারের লোকজন সড়ক ভেঙ্গে কার্পেটিং উঠিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করেন। এরপর নিজেদের ইচ্ছামত কয়েক ধাপে বালি আর পাথর ফেলেছে। এরপর সড়কটির কার্পেটিং না করে ফেলে রাখায় রোদের সময় গাড়ি চলাচলে ধুলা ওড়াসহ সামান্য বৃষ্টিতে ময়লাযুক্ত পানিতে সড়কটি একাকার হয়ে যায়। এই সড়কেই বড়াইগ্রাম হাসপাতালে আগত রোগী, থানা পুলিশ, পৌরসভা ও পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র লক্ষীকোল বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীকোল গ্রামের বাসিন্দা ডিএম আলম বলেন, মাত্র পাঁচ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে এতো সময় লাগার কোন কারণ নেই। ঠিকাদারের পাশাপাশি তদারককারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবেহলার কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ পরিতোষ কুমার রায় বলেন, এ সড়কের ধুলাবালিতে আশপাশের জনগণ ও পথচারীদের ব্যাকপেইন, এলার্জি ও ফুসফুস চরম ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে।
নাটোর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, সড়কটির কার্পেটিংয়ের কাজ বাঁকি রয়েছে। তারা কাজের মেয়াদ কিছুটা বাড়িয়ে নিয়েছে। তবে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *