লালপুরে হুমকির মুখে সন্ত্রাসী হামলায় আহতের পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে

নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের নান্দ পশ্চিমপাড়া গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় আহত আরিফুল ইসলাম (৩৮) স্বপরিবারে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলার আসামীরা আরিফুলের পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে আহত আরিফুলের পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ করেন।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত আরিফুলের ছোট ভাই আশিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৪ জুন রাত ১০ টার সময় আরিফুল ইসলাম নান্দ বাজারে নিজস্ব ওষুধের দোকান বন্ধ করে থেকে বাড়ি ফেরার সময় নান্দ পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজিজের ছেলে আকতার ও জমসেদ এর ছেলে জিয়ার নেতৃত্বে ৮-১০ জন ধারালো দেশীয় অস্ত্র, চায়নিজ কুড়াল ও পিস্তল নিয়ে পথ রোধ করে হাত-পা, মাথা, মুখসহ সারা শরীরে এলোপাথারী কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আমার ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাতের ও পায়ের রগ কেটে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালপুর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এঘটনায় আদালতে মামলা হলে পুলিশ ৬ আসামীকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এদের মাধ্যে দুইজন আসামী বর্তমানে জামিনে এসে পুনরায় আমাদের পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমরা প্রাণভয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে পাশ্ববর্তী ময়না গ্রামে আমার আহত ভাই আরিফুলের শ্বশুড়বাড়িতে অবস্থান করছি। তিনি আরো জানান, আসামীদের অধিকাংশই সন্ত্রাসী, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামী। তারা আসামীদের জামিন বাতিলসহ সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে জামিনে মুক্তি পাওয়া হালিম ও মাহবুলের মোবাইল ফোন নম্বরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য তাদের মোবাইল নম্বরে মেসেজ পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেননা। তবে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, এবিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবুও যত দ্রুত সম্ভব এলাকায় গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *