তাজা মাছবাহি নসিমনের নিচে পড়ে কলেজ ছাত্র ও বৃদ্ধ নিহত

নাটোর অফিস ॥
নাটোরে তাজা মাছ বহনকারী পানিভর্তি নছিমন উল্টে মাছ ব্যবসায়ী কলেজ ছাত্র মিজানুর (২১) ও পথচারি বাচ্চু সরদার (৬৫)নামে দুইজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয় নসিমন চালক আকবর হোসেন (৩৫)। রোববার সকালে সদর উপজেলার তেলকুপি-নাটোর সড়কের আমহাটি এলাকায় এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান নলডাঙ্গা উপজেলার পুর্ব মাধনগর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে এবং মাধনগর বিএম কলেজের ছাত্র ও বাচ্চু সরদার সদর উপজেলার চক আমহাটি গ্রামের মৃত মজিদ সরদারের ছেলে। আহত চালক আকবর হোসেন নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে উদ্ধারের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২ টার দিকে মিজানুর ও বাচ্চু সরদার মারা যান। দূর্ঘটনায় নিহত বাচ্চু সরদারের ছেলে মুদি দোকানী মিঠু সরদার ও সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, রোববার ভোর রাতে নিহত মাছ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে মাছ উত্তোলন করেন। সকালের দিকে উত্তোলনকৃত প্রায় ১৫/১৬ মন তাজা মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে পানিভর্তি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়ি নসিমনে করে নাটোর শহরে নিয়ে আসছিলেন। পথে নাটোর-তেলকপি গ্রামীন সড়কের আমহাটি এলাকার আজিজ মুন্সীর বাড়ির নিকট পৌছালে সড়কের পাশে থাকা একটি গরুর সাথে ধাক্কা লেগে নসিমনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এসময় মাছ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান, চালক আকবর হোসেন ও পথচারী বাবু সরদার ওই নসিমনের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমান ও বাচ্চু সরদার মারা যান। আর আকবর হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষ হলেই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *