পাওনা মাত্র ২ হাজার টাকার জন্য হত্যা করা হয় সুলতানকে

নাটোর অফিস ॥
পাওনা মাত্র ২ হাজার টাকার জন্য হত্যা করা হয় বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের সুলতান ওরফে ইমনকে। শনিবার নাটোরের পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত মুল হোতা ছানোয়ার হোসেন ছানাকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। ছানা তার পাওনা টাকা না পেয়ে সুলতান ওরফে ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সহযোগীদের সহায়তায় হত্যা করার পর চষুডাঙ্গা এলাকার একটি গম ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। পরে লোক মারফত খবর পেয়ে গত ১৩ জানুয়ারী লালপুর উপজেলার চষুডাঙ্গা এলাকার একটি গম ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত হিসেবে সুলতনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান,লাশ উদ্ধারের সময় সুলতানের পকেট থেকে পাওয়া একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। মৃত ব্যক্তি সুলতান ওরফে ইমন বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর খুনিকে ধরতে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গঠন করা হয়। তারা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা সহ ওই পরিচয়ের সুত্র ধরে পুলিশ সুলতানের খুনিকে সনাক্ত সহ গ্রেফতারে মাঠে নামে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। অভিযানের এক পর্যায়ে শুক্রবার রাতে সুলতানকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি বাগাতিপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেন ও জামেনা খাতুনের ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত পুলিশের টিম ঢাকা, সাভার,আশুলিয়া,পঞ্চগড়,সৈয়দপুর ,রংপুর ও জামালপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ছানোয়র হোসেন ছানা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় যে, নিহত সুলতানের কাছে সে ধারের ২ হাজার টাকা পেতো। টাকা না দেওয়ায় গত ১২ জানুয়ারী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সুলতানকে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজারে ডেকে নেয়। সুলতার তার পাওনা টাকা দিতে রাজি হয়না। পরে অন্যদের সহায়তায় তাকে লালপুর উপজেলার চষুডাঙ্গা এলাকায় নিয়ে গিয়ে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ সেখানেই ফেলে রেখে আসা হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *