নাটোরে পলক, ‘দুর্যোগ এলে আরো বেশি পাশে থাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’

নাটোর অফিস॥
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, প্রতি বছর বন্যায় প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করতে হয় হালতিবিল ও চলনবিল বাসিকে। এদেশের মানুষের কল্যানে সর্বদাই পাশে পাওয়া যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তেবে যখনই দুর্যোগ আসে তখন আরো বেশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারও তিনি সার্বিভাবে সহযোগিতা করছেন।

আজ শুক্রবার লালোর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা শেখ হাসিনার সরকারের উপর ভরসা রাখতে পারেন বন্যার্তদের কেউ না খেয়ে থাকবে না। আমরা পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তত রেখেছি। তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে করেছি।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘একদিকে করোনা অপরদিকে বন্যায। আমাদের সকলের সময় কাটছে দুর্যোগের মধ্য দিয়ে। তাই বলে আমাদের দিন থেমে থাকছে না। সরকার অতীথের সময়গুলোর মতোই আক্রান্ত ও উপদ্রুত মানুষের পাশে রয়েছে।’

সিংড়ার বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিংড়ার ৮ টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত। মানুষকে ঘর থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য কাজ করছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠন। শুধু রাজনীতিই না, বিপদের দিন সিংড়ার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে ৫২ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৪ টি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুৃষ আশ্রয় নিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন এবং ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

এ সময় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আবু রায়হান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, লালোর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, লালোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম, সাধারন সম্পাদক রুবেল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক একরামুল হক শুভ প্রমূখ।

পরে বন্যার পানিতে প্লাবিত সিংড়া শহরের থানা মোড়, সাবরেজিষ্টার অফিস, কাচাবাজার, গোডাউনসহ আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে খোঁজখবর নেন প্রতিমন্ত্রী।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *