নাটোরে করোনা পরীক্ষার ল্যাব দিনঃ তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি

নাটোর অফিস॥ সরকারের কাছে নাটোরের মানুষের করোনা পরীক্ষার জন্য ল্যাব চেয়েছে তেল,গ্যাস,বিদ্যুত,বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। সংক্রমণ রোধে দ্রুত নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য একটি ল্যাব অতি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়া জেলায় সম্ভাব্য করোনা রোগীদের হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত শয্যা নিশ্চিত, করোনা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে বিনামূল্যে র্যাপিড টেস্টিং কিটস সরবরাহ ও ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারেরও দাবী জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষে।

শনিবার(২৭শে জুন) দুপুরে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় করোনাকালের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে সংগঠনটি।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট লোকমান হোসেন বাদল, সদস্য সচিব দেবাশীষ রায়, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট সুখময় রায় বিপলু, ন্যাপ জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ, বাসদ জেলা নেতা মোবারক হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা সদস্য মিজানুর রহমান, ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেনসহ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন “করোনার এই সময় চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। হাসপাতাল গুলোতেও করোনা রোগীদের জন্য বেড পর্যাপ্ত নেই, নেই অক্সিজেন সরবরাহ।”

নাটোরে করোনার সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, “জেলার করোনা নমুনা জেলায় টেস্টের ব্যবস্থা না করে অন্য জেলায় পাঠিয়ে ফলাফল না পেয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত সংক্রমিত হয়ে ঘুরছে। এসব সমস্যার সাথে যোগ হয়েছে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল, মোবাইলের অস্বাভাবিক কলরেটসহ আরো অনেক কিছু।”

জাতীয় বাজাটের সমালোচনা করে বক্তারা জানান, বাজেটে স্বাস্থ্য খাত গুরুত্ব পাওয়ার কথা হলেও জিডিপি উন্নয়নের দিকে সরকারের মনোযোগ বেশি। কৃষিতে কৃষকদের সহায়তা দেয়ার কথা বললেও শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়েছে সরকার।

সরকারকে দোষারোপ করে বক্তারা বলেন, “বাজেটে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে পরিবেশ বিধ্বংসী মেগা প্রকল্প চালু রাখার অবাস্তব পরিকল্পনা অমানবিক পরিকল্পনা সরকার করে চলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দেয়ার কথা হলেও সুরক্ষাহীনভাবে ডাক্তারদের এগিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কর্মকর্তারা বাড়িতে বসে থাকছেন। ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *