নাটোরে যেভাবে খুন হন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী

নাটোর অফিস॥
নাটোরে শহরের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মাজেদ খান চৌধুরীর স্ত্রী জাহানারা চৌধুরীকে কুপিয়ে হত্যার নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত আসামী সোহান হোসেন।

আজ শুক্রবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন সোহান।

যেভাবে খুন করা হলো
পুলিশকে দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গত পরশু বুধবার সন্ধ্যার পরে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাজেদ চৌধুরীর বাড়িতে ঢুকে লুকিয়ে পড়ে সোহান। গভীর রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়লে চুরি করার জন্য জাহানারার কক্ষে ঢুকে সোহান। টাকা ও গহনা নেয়ার সময় আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায় জাহানারা বেগমের। জাহানারা এক পলকেই সোহানকে চিনতে পারেন। এসময় তিনি সোহানকে জাপটে ধরে চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করে। পালাবার উপায় না পেয়ে সোহান তার শরীরে লুকিয়ে রাখা ছুরি বের করে উপুর্যপরি আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে জাহানারে বেগমকে রক্তাক্ত করে দোতলার উত্তর পাশের ছোট্ট একটি জানালার গ্রীল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে সোহান।

নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শুক্রবার তাকে ১৬৪ ধরায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী গ্রহণ শেষে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।”

প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে প্রয়াত মাজেদ খান চৌধুরীর নিজ বাসভবনে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। চুরি করার সময় দেখে ফেলায় চোর জাহানারা চৌধুরীকে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। জাহানারা চৌধুরীর শরীরে ৯টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘাতক সোহান-১৬ কে ঘটনার পর পরই নাটোর স্টেশনের উত্তর পাশে থেকে আটক করে। রাতে সোহান পুলিশের কাছে চুরি করার জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জবানবন্দী দেয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *