নাটোরে রাস্তার মাঝেই থেকে গেল বিদ্যুতের খুঁটি

নাটোরঃ রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি। যান চলাচলে প্রতিনিয়তই তাই সতর্কতা। একটু এদিক-ওদিক হলেই ৩৩ হাজার ভোল্টের তারের ঝুঁকি। এমন খুঁটি অপসারণ না করেই সম্পন্ন করা হল সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের পিচ চালাই।

নাটোর শহরের হরিশপুর বাইপাস মোড় থেকে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় পর্যন্ত শহরের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়কের উপর দন্ডায়মান এমন ৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই রাস্তার পিচ ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগ। তবে যাই হোক, রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলে এবার স্থায়ী ঝুঁকি সৃষ্টি হল, বলছে পথচারী ও যানবাহন চালকরা।

স্থানীয়দের দখলে থাকা নিজেদের জমি উদ্ধারে করে রাস্তার দুই পাশে সড়ক বিভাগ নির্মাণ করে ড্রেন কাম ফুটপাত। এতে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো চলে আসে রাস্তার প্রায় মাঝ বরাবর। রাস্তা সংকুচিত হওয়ায় দিনের বেলাতেও বন্ধ হয় অনুমোদিত যান চলাচল আর রাতে দূর্ঘটনা এড়াতে নৌশকোচ চলে শহরের ভেতর দিয়ে।

মঙ্গলবার শহর ঘুরে দেখা যায়, শহরের আলাইপুরস্থ নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে একটি, উত্তরা সুপার মার্কেটের সামনে ২টি ও ছায়াবানী মোড় সংলগ্ন পিলখানা রোডের সামনে ১টি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে পিচ ফেলে ঢালাই ও রোলিং সম্পন্ন হয়েছে।

ইজিবাইক চালকদের প্রত্যেকেরই একই অভিযোগ- দিনের বেলা দেখা গেলেও রাতে এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি উপেক্ষা করে চলা মুশকিল। চরম কান্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ পিচ ঢালাই শুরু করলো।

অভিযোগ রয়েছে পথচারী, যান চালক ও স্থানীয়দের। তাদের মতে, বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগ সমন্বয় করে কাজ করেনি। এতে যেমন ঝুঁকি থেকে গেল, তেমনি আবারও অপসারণ কাজের স্বার্থে বড় অংকের বরাদ্দ হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ রাখা হল।

এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে নাটোর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বলেন, খুঁটি অপসারণের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা দেয়নি সড়ক বিভাগ, তাই অপসারণ হয় নি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী জাবেদ হোসেন তালুকদার বলেন বলেন, সড়কের কাজে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াটি চলমান। অধিগ্রহণ শেষে খুঁটিগুলো অপসারণ হবে। এতে কোন দূর্ভোগের শঙ্কা নেই।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *