নাটোরের সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসকে এলাকা ছাড়তে নির্দেশ

নাটোর অফিস॥ বিধি বর্হিভূতভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহনের অভিযোগে নাটোর-৪(গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহষ্পতিবার নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে অনতিবিলম্বে তাকে নিজ এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। একই দিনে আদেশটির একটি কপি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসের নিকট পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস।
আদেশে বলা হয়, নাটোর-৪(গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের আওতাধীন গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যে দুই প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা উপজেলা পরিষদ(নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬এর ২২ বিধির পরিপন্থি।
নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসার ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসের নিকট এলাকা ত্যাগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার কপি পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭শে ফেব্রুয়ারী দৈনিক সমকালের শেষ পৃষ্ঠায় ‘ঘোষণা দিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে মাঠে নাটোরের সাংসদ কুদ্দুস’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে বলা হয়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস তার কথিত পালিত পুত্র জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রেখে তার পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাইছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি চাপিলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের পক্ষে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ভোট চান তিনি। সে সময় ধারণ করা ভিডিওতে সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘আপনারা আমাকে নির্বাচিত করে যেমন ঠকেননি; আনোয়ারকে উপজেলা চেয়ারম্যান করলেও ঠকবেন না। অন্য যাকে ভোট দেন, ঠকবেন। ঠকে গেছেন কিন্তু আপনারা। তারা দুইজনই চেয়ারম্যান ছিলেন। আপনারা সব সময় বিপুল ভোটে আমাকে জয়যুক্ত করেছেন। এবারও সে কাজটি করবেন। আপনাদের সঙ্গে আর ভোটের বিষয়ে কথা বলতে আসতে পারব না। কারণ এমপি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ক্যাম্পিংয়ে থাকতে পারবেন না। তারপরও আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করলাম। কারণ অনেকে জিজ্ঞাসা করছে- এমপি সাহেব কী চায়? ভালোবেসেই বলছেন। কানা-মনে মনে জানা। ভোটটা ঠিকমতো দিবেন।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *