এবার নাটোরে ঘোড়ার গাড়িতে প্রকৌশলীর বিয়ে!

নাটোর অফিস॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এবার ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ে করলেন তরিকুজ্জামান সম্রাট নামে এক প্রকৌশলী। উপজেলার বাগাতিপাড়া ইউনিয়নের সাজা মালঞ্চি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামানের ছেলে একেএম তারিকুজ্জামান সম্রাট শুক্রবার দুলাভাইয়ের শখ পুরণ করতে বিয়েতে এমন আয়োজন করেন। তিনি সম্প্রতি নর্দান ইউনিভারসিটি থেকে টেক্সাটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন। আর কনে একই উপজেলার একই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল হাকিমের মেয়ে সানজিদা আক্তার বন্যা। তিনি তমালতলা কৃষি ও কারিগরি ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী। বর ও কনের বাবা দু’জনই একই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য। যান্ত্রিকতার যুগে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। বর যাত্রা দেখতে ভীর করেন নানান বয়সের এলাকাবাসী।
প্রকৌশলী তারিকুজ্জামানের দুলাভাই মুস্তাফিজুর রহমান রতন জানান, রাজা-জমিদারের ঐতিহ্যে ঘেরা নাটোরের ইতিহাস। এসব রাজা-জমিদাররা এক সময় রাজকীয় বাহন হিসেবে ঘোড়ার গাড়িতে বিয়ে করতেন। কিন্তু যান্ত্রিক বিপ্লবের ফলে হেলিকপ্টারের যুগে ঘোড়ার গাড়িতে বিয়ের প্রচলন হারিয়ে যাচ্ছে। মুলত নাটোরের রাজকীয় ঐতিহ্যকে সম্মান দেখাতেই তাঁর শ্যালককে ঘোড়ার গাড়িতে বিয়ে দেয়ার ইচ্ছে থেকেই এ আয়োজন। তিনি আরও জানান, শুক্রবার বেলা আড়াইটায় দুলাভাইদের সাথে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে রওনা হন প্রকৌশলী তারিকুজ্জামান সম্রাট। আর বরযাত্রীদের বিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয় মাইক্রোবাসে । বরের বাড়ি থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে কনের বাড়িতে পৌঁছে বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে পিত্রালয়ে ফিরে আসেন বর। শনিবার বরের বাড়িতে বউভাতের আয়োজন রয়েছে।
বরযাত্রী ফজলে রাব্বি জানান, রাজকীয় যান ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিয়ের বরযাত্রী হয়ে তিনি ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
বর তারিকুজ্জামান সম্রাট জানান, দুলাভাইদের ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েই তিনি ঘোড়ার গাড়িতে গিয়ে বিয়ে করছেন। তবে বিষয়টি তার কাছে বেশ রোমাঞ্চকর মনে হয়েছে বলেও জানান বর।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর একই উপজেলার সোনাপুর পাবনা পাড়া গ্রামের শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলামের ছেলে প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ বাদশা হেলিকপ্টারে গিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলায় বিয়ে করে এলাকায় আলোচিত হন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *