নাটোরে লাশ উদ্ধারের চার দিনের মাথায় প্রতিবন্ধি ভ্যান চালক বিদ্যুৎ হত্যায় জড়িত ২ জন গ্রেফতার

নাটোর অফিস ॥
নাটোরে চালক প্রতিবন্ধি বিদ্যুতকে হত্যা করে ছিনতাই করা রিক্সা ভ্যান উদ্ধার সহ হত্যার ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিবন্ধি ভ্যান চালক বিদ্যুতের (২০) মৃতদেহ উদ্ধারের চার দিনের মাথায় শুক্রবার রাতে তার হত্যা রহস্য উদঘাটন ও ছিনতাই হওয়া মটর চালিত ভ্যান রিক্সা উদ্ধারসহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রিপন হোসেন ও দুলাল প্রমানিক নামে ২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সিংড়া উপজেলার হাতিয়নদহ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রিপন হোসেন হাতিয়নদহ গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে এবং দুলাল প্রামানিক ওই একই গ্রামের শুকুর প্রামানিকের ছেলে। এছাড়া ছিনতাই হওয়া মটর চালিত ভ্যান রিক্সাটি সদর উপজেলার এক মেকারের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বরে শনিবার বেলার ১১ টার দিকে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, এই হত্যার সাথে মামুন নামে জড়িত আরো একজন পলাতক রয়েছে। তাকে ধরার জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোন সময় সে ধরা পড়বে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা আরো জানান, সিংড়া উপজেলার ভ্যান চালক নির্মল কুমার সরকারের ছেলে প্রতিবন্ধি বিদ্যুৎ সরকার তার বাবার অসুস্থতার জন্য ভাড়া খাটার উদ্দেশ্যে ২০ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর ওই দিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রিপন,দুলাল ও মামুন নামে অভিযুক্ত তিন ছিনতাইকারী ওই ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হাতিয়নদহ বাজার থেকে মটগ্রাম যাওয়ার কথা বলে ভ্যানটি ভাড়া করে। কিন্ত তারা ঘোরা ফেরা করে সময়াক্ষেপন করে রাত ৮টার দিকে ভ্রানে চেপে মটগ্রামের দিকে রওনা হয়। পথে তারা নওফেল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির ধান ক্ষেতের পাশে নির্জন জায়গায় পৌঁছালে বিদ্যুতের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এসময় তারা বিদ্যুতের ভ্যান রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন তার মৃতদেহ উদ্ধারের তার বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর তার নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন),অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাটোর সার্কেল, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ জেলা পুলিশের একটি চৌকষ দল হত্যাকারীদের সনাক্ত করা সহ তাদের ধরতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অভিযান শুরু করেন। অভিযানে বিদ্যুতের ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন ও অটো চার্জার ভ্রান উদ্ধার ও রিপন ও দুলালকে গ্রেফতারের পর বের হয়ে আসে হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক ঘটনা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনহার হোসেন প্রমুখ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *