নাটোর শহরের সড়ক উন্নয়নে অধিগ্রহণকৃত ভুমির ন্যায্য মূল্যের দাবি ক্ষতিগ্রস্থ ভুমি মালিকদের

নাটোর অফিস ॥
নাটোর শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া সড়ক প্রশস্ত করণের জন্য অধিগ্রহণকৃত ভূমির ন্যায্য মূল্য দাবী করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ভুমি মালিকরা। স্থান ভেদে বর্তমান বজার মুল্য এক শতক জমি সর্বোচ্চ কোটি টাকা থেকে সর্বনিন্ম ৫৫ লাখ টাকা নির্ধারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবী জানিয়েছেন ভুমি মালিকরা। আজ রোববার সকালে (১৮ অক্টোবর) শহরের আলাইপুর এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্তোরায় এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুহুল আমিন বাবু।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভূমি অধিগ্রহণ বিদ্যমান আইনে অধিগ্রহণের তিন গুন বেশী মূল্য প্রদানের বিধান রয়েছে। যা বাস্তবতার এবং পারিপার্শিকতার সাথে মিল নেই। তারা দাবী করেন ,সরকারী আইনে অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে তিন গুন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে চার গুন মূল্যে অধিগ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং অধিগ্রহণকৃত জমির পিছনে চার গুন মূল্যে ভুমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্থ ভুমি মালিকদের দেওয়া হোক। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, শহরের প্রান কেন্দ্র নিচাবাজারস্থ ছায়াবানী সিনেমা হল মোড় এবং স্টেশন রোডের কোন জায়গা একই মূল্য হতে পারেনা। ভুমি অধিগ্রহণের অনেক পূর্বে নিচাবাজার থেকে আলাইপুর এলাকায় দুটি জায়গার একটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং অপরটির মূল্য প্রতি শতাংশ ২৬ লাখ ৬৬ হাজার টাক বিক্রি হয়েছে। ছায়াবানী সিনেমা হল এলাকার ছয়মাথা মোড় হচ্ছে নাটোর শহরের প্রধান ও প্রান কেন্দ্র। এই এলাকায় নতুন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মত নতুন কোন জায়গা খুজে পাওয়া যাবেনা। জনগুরুত্বপুর্ন এই এলাকায় গভীর রাত অবদি মানুষের কোলাহল লেগেই থাকে। তাই অন্য এলাকার তুলনায় এই এলাকায় অধিগ্রহণকৃত ভুমির মুল্য শতাংশ প্রতি কোটি টাকা প্রদানের দাবী ক্ষতিগ্রস্থ মালিকদের।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন যজ্ঞের চলমান ধারায় নাটোরে যে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে সেজন্য এ্ি শহরের মানুষ হিসেবে আমরা সবাই গর্বিত। কিন্তু ভুমি অধিগ্রহন করতে গিয়ে ভুমির মালিকগন যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন। অধিগ্রহনকৃত ভমির ন্যায্য মুল্য পায় সেদিকে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য আবেদন জানান ভুমি মালিকরা। ক্ষতিপুরনের টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ভুমি মালিকরা যাতে পুর্নবাসিত হতে পারে সে বিষয়ে সুদৃষ্টি রাখার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা। তারা ভূমির ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও ক্ষতি পূরণ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের কাছে দাবি জানান । সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মিল্লাদ হোসেন মিঠু ,ছায়াবাণী সিনেমা হল মালিক মাহবুবুর রহমান সোহেল ,খাঁন মার্কেট আবু সাইদ , ইসলামীয়া হোটেল মালিক সিরাজুল ইসলাম , জলযোগ মিষ্টান্ন ভান্ডারের আহমেদুল কবির, জনতা ষ্টোরের প্রদীপ পোদ্দার, সুধী মিষ্টান্ন ভান্ডারের পলাশ কুমার ঘোষ সহ অধিগ্রহণকৃত ভুমির মালিকগণ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *