চলনবিলের দুর্যোগ সারথী

নাটোর অফিসঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নাটোরের সিংড়ায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরকারী সফর নির্ধারিত ছিলো আগামী সপ্তাহে। কিন্ত  হঠাৎ করে গত ১৫ই জুলাই সিংড়া-তেমুখ নওগাঁ সড়ক বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবরে ওইদিন রাতেই সিংড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। ভোরবেলা সিংড়ার গোডাউনপাড়াস্থ নিজস্ব বাসভবনে
পৌছান প্রতিমন্ত্রী।

কয়েকঘন্টা পর সকাল ৯টায় ত্রাণের বহর নিয়ে রওনা দিলেন শেরকোলের উদ্দেশ্যে। ভাগনগরকান্দি শিববাড়ি বাজার এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। এই এলাকা থেকেই শুরু প্রতিমন্ত্রীর দিনের কার্যক্রম।

সাড়ে ৮টায় শিববাড়ী পৌছে এক হাজার বন্যা দুর্গত মানুষদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এরপর নৌকাযোগে রওনা দেন প্লাবিত এলাকাগুলোতে। আলোচিত তেমুখ নওগাঁ সড়কের ভাঙ্গন অংশের কাছে থামে প্রতিমন্ত্রীর নৌকা। সেখানে নেমেই প্রতিমন্ত্রী দেখতে পান বানভাসী মানুষরা স্বেচ্ছায় বাঁশ দ্বারা বাঁধ তৈরীর প্রস্ততি নিচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী তাদের উৎসাহিত করতে পারিতে নেমে নিজেও বাঁধ নির্মাণে হাত লাগান। এসময় উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের পানি কমার সাথে সাথে ভাঙ্গন থেকে রক্ষার উপযোগি সড়ক নির্মাণের জন্য নির্দেশ দেন।

দুপুরের পর প্রতিমন্ত্রী অপর বন্যাদুর্গত চামারী ইউনিয়ন  যান। সেখানে উপস্থিত হয়ে পাঁচশত পানিবন্দী পরিবারের কাছে মানবিক খাদ্য সহায়তা তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী। এরপর নৌকাযোগে বিভিন্ন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। সবশেষে বিলদহর বাজার পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সুধীসমাজের সাথে মতবিনিময় করেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক এবারও বানভাসী মানুষদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ২০১৭ সালের বন্যায় বানভাসী মানুষের কাছে ত্রাণ পৌছে দিতে একবুক পানিতে নামা জুনাইদ আহমেদ পলক সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করিয়েছেন সকলকে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে আলাদা আলাদা পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেছিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক। আগামী দিনের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাশে পাবে চলনবিলের সন্তান জুনাইদ আহমেদ পলককে, এখন তারা এটা বিশ্বাস করে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *