
স্থানীয় ভূমি অফিসের নথি ও মামলার বিবরণী মতে,উপজেলার পাটুল পশ্চিমপাড়ার সেকেন্দার ঢালী ১৯৮৯ইং সালে শ্রী অপূব মৈত্র গং এর নিকট হতে ৩৮ শতাংশ জমি কিনে নেয়। এর মধ্যে দখলীয় পাটুল মৌজার ০১ নং খতিয়ানের ১০৫৫ দাগের খাস ১০ শতাংশ জমির ভোগদখলও বুঝিয়ে দেয় অপূর্ব মৈত্র গং। সেকেন্দার ঢালী মারা যাওয়ায় তার ছেলে আনোয়ার হোসেন ঢালী ও জয়নাল আবেদীন ঢালী কাজল ওই জমিতে বাড়ি করে বসবাস করে আসছে। এর ৩০ বছর পর ২০১৮ সালের ২৮শে মার্চ ওই ১০ শতাংশ জমিকে নিজেদের পূর্বপুরুষের দাবী করে শ্রী ইন্দ্রনীল মৈত্র ও নারায়ন চন্দ্র হালদারসহ চার ব্যক্তি তা দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ১লা এপ্রিল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আকতার হোসেনকে তদন্ত করে প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তদন্ত শেষে ১৯শে এপ্রিল দাখিলকৃত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই ১০ শতাংশ জমি কোন অপদখল পরিলক্ষিত হয়নি।
এ ঘটনার পর চলতি বছরের ১১ মার্চ অভিযোগকারীদের পক্ষে জমি দখলের চেষ্টা করে। এসময় ভোগদখলকারীদের টিনের ঘর ভেঙ্গে ও জমির সীমানা খুঁটি তুলে জমি দখলের চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। দুই মাস পর আবার ৫ মে পূর্বোক্ত আসামীরা ওই জমিকে দেবোত্তোর সম্পত্তি দাবী করে জোরপুর্বক সেখানে একচালা টিনের ঘর তোলে। বাধা দিলে মামলার বাদী জয়নাল আবেদিন, তার ভাই জামাল উদ্দীন, বোন সাজেদা বেগমকে ও নাহিদা খাতুনকে কুপিয়ে আহত করে। এসময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামরাকারীরা পিছু হটে এবং পুনরায় হামলার হুমকি দেয়া হয়।
জয়নাল আবেদীন জানান,তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে ওই ভিটায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। মাটি ফেলে গর্ত ভরাট করে সমান্তরাল করেছেন বেশ কিছু খাস জায়গা। ভোগ দখলে থাকা ওই খাস সম্পত্তি বন্দোবস্তের জন্য গত প্রায় ২০ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে আসছেন।
প্রতিপক্ষ রবি হালদার জানান, ওই সম্পত্তি দেবত্তোর সম্পত্তি। সম্পত্তিটি অবৈধভাবে দখলে রেখেছে কাজল। কারো ওপর কোন হামলার ঘটনার সাথে তারা জড়িত নয়। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন বলেন ,দু’পক্ষকে নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেও বিরোধ নিস্পত্তি করা যায়নি। এনিয়ে সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটে।
নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুর রহমান বলেন, মারপিটের ঘটনা অনেক আগের। সম্প্রতি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভুমি অফিস মাপযোগ করে বিরোধপুর্ন সম্পত্তি সরকারী সম্পত্তি বলে প্রতিবেদন দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বি বলেন,স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিরোধপুর্ন সম্পত্তি খাস । দু’পক্ষের কারোই নয়। জায়গা মেপে সরকারী ওই খাস সম্পত্তি চিহ্নিত করে উভয় পক্ষকে শান্তিপুর্ন সহাবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



