
নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন শিশু উদ্ধার ও ৩ অপহরণাকারীকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বৃহষ্পতিবার রাত ১০টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে অপহৃত শিশু বাবুকে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেন।
পুলিশ সুপার জানান, প্রায় তিন মাস আগে বড়াইগ্রামের আগ্রান গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী সাহিদা বেগমের সেলফোনে ফোন করে আবেগঘন কথাবার্তার মাধ্যমে তাকে পাতানো বোন বানান অপহরণকারী সোহাগ। গত ৫ই এপ্রিল সে তার দুই বন্ধুসহ সাহিদার বাড়িতে বেড়াতে আসে। দুইদিন সাহিদার বাড়িতে থেকে আত্নীয়স্বজনদের সাথে মেলামেশা করে সব বিষয় জেনে নেয়। ৭ই এপ্রিল সকালে ঘুরতে যাবার নাম করে সাহিদার শিশুপুত্র বাবু আহম্মেদকে সাথে নিয়ে গ্রাম ঘুরতে বেরানোর নাম করে অপহরণ করে। পরবর্তীতে সাহিদাকে ফোন করে জানানো হয় তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ছেলেকে ফিরে পেতে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী হয়। বাবুকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম যৌথভাবে কাজ শুরু করে। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুক্তিপণের টাকা উত্তোলনের সময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য পাপলুর স্ত্রী নারগিস আক্তারকে গত ৮ই এপ্রিল, তাদের অাশ্রয় দেয়া অপহরণকারী শাহজালালের খালা নুরজাহানকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে এবং সাদ্যুল্লাপুর থেকে অপহরণকারী সোহাগকে গ্রেফতার ও শিশু বাবুকে উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশীদ, বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ দীলিপ কুমার দাসসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।



