চুরি ঠেকাতে লিচু গাছে বৈদ্যুতিক ফাঁদ!

প্রতিনিধি, বাগাতিপাড়া
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চুরি ঠেকাতে লিচুর গাছে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতেছেন এক গাছের মালিক। খোলা তারের ওই ফাঁদে জড়িয়ে যেকোন সময় প্রাণহানীর আশংকা করছেন স্থানীয়রা। তিনি শুধু ফাঁদই পাতেননি, সেখানে একটি সাইনবোর্ড টানিয়েছেন। আর তাতে লিখেছেন সাবধান! লিচুর গাছে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া আছে, কেউ যদি মারা যায় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। বিপজ্জনক কান্ডটি ঘটেছে উপজেলার মালঞ্চি রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত পোর্টার আব্দুর রাজ্জাক এই কান্ডটি করেছেন। তার বাড়ি ঈশ্বরদীর পাকশিতে। চাকুরির সুবাদে দীর্ঘদিন থেকে তিনি মালঞ্চি রেল স্টেশনের পাশে সরকারি জমিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তার বাড়ির পাশের একটি লিচু গাছ থেকে সম্প্রতি লিচু চুরি হয়। তাই লিচু চোর ঠেকাতে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জুয়েল লিচু গাছে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতেছেন।
স্থানীয় সোনাপাতিল মহল্লার রবিউল আলম, জালাল উদ্দিন ও পেড়াবাড়িয়া মহল্লার লিমন জানান, তারা ওই লিচু গাছে বিদ্যুতের তার জড়ানো দেখেছেন। গাছটির পাশ দিয়ে শিশুরাসহ সাধারন মানুষ চলাচল করে। গাছে জড়ানো বিদ্যুৎ এর তারে জড়িয়ে যে কোন সময় প্রাণহানীর মতো বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি ভুল করে গাছের মালিকদের নিজেদের পরিবারের সদস্যরাও দূর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
মালঞ্চি রেল স্টেশনে দায়িত্বরত ওয়েম্যান সানোয়ার কবীর জানান, তিনি এমন কান্ডটি দেখতে পেয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পুরো লিচু গাছ জুড়ে খোলা তার প্যাঁচানো রয়েছে। পাশে একটি ডালে সতর্কতামূলক একটি সাইনবোর্ড সাঁটানো রয়েছে। আর তাতে লেখা রয়েছে ‘সাবধান! এই লিচু গাছের আশে পাশে এবং লিচুর গাছে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ো আছে। বিঃদ্রঃ কেউ যদি মারা যায় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না’।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লিচু গাছে পাহারার ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা আইনসিদ্ধ নয়।
গাছের মালিক জুয়েলকে না পেয়ে তার বড় ভাই জিয়ার সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, লিচু চুরি ঠেকাতে এমন দৃশ্যমান বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এতে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *