নাটোর অফিস।।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্যর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।চাঁদা না দেওয়ায় ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং পরে জোরপূর্বক ১৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন ওই নারী সদস্য।
ভুক্তোভোগী ইউপি সদস্যর নাম হাসিনা খাতুন। তিনি নগর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য।
হাসিনা খাতুন জানান, ‘কাবিখা’ প্রকল্পের আওতায় নগর ইউনিয়নের মেরীগাছা ব্রিজ থেকে নিতাইনগর পাকা রাস্তা পর্যন্ত আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এ কাজকে কেন্দ্র করে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মী ধানাইদহ পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আত্বাব আলী সরকারের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান, কয়েন পশ্চিমপাড়া গ্রামের ফয়সাল আহম্মেদ এবং নগর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি দোগাছী গ্রামের আব্দুল খালেক কাজে বাধা দিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
হাসিনা খাতুন আরো বলেন, ‘চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ধানাইদহ মুন্নাপাড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলামের ছেলে কাওছার আহমেদের মোটরসাইকেলে করে আমাকে বনপাড়ায় নিয়ে যায়। সেখানকার জনতা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে তারা আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় তারা। এখন বাকি ৫ হাজার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে।’
হাসিনা খাতুন জানান, বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানোর পর তদন্তে আসে সেনাবাহিনী। পরে অভিযুক্তরা টাকা ফেরত দিতে চাইলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা আব্দুল খালেক চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শ্রমিক দিয়ে না করে খননযন্ত্র দিয়ে করা হচ্ছে আমরা এর প্রতিবাদ করেছি মাত্র।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করে নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।’