ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত অধ্যক্ষকে নাটোরে দাফন

নাটোর অফিস ॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিরাসা এলাকার বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাটোরের মোস্তাব আলীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের ছোট ভাইয়ের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মৃত্যুর কারন আতœহত্যা না হত্যা, এ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। বুধবার রাহ্মণবাড়িয়ায় অধ্যক্ষ নাটোরের মোস্তাব আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে শৌচাগারের ভেতরে গলায় রশি পেচাঁনো অবস্থায় অধ্যক্ষ মোস্তাব আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মোস্তাব আলী নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত মজিদ উদ্দিন সরকারের ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের পর অধ্যক্ষের মৃতদেহ নাটোরের পাইকপাড়া গ্রামে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পাইকপাড়া গ্রামে নিহত অধ্যক্ষের লাশ দাফন করা হয়।
নিহত মোস্তাব আলীর ছোট ভাই সাজ্জাদুর রহমান বলেন, তার ভাই আত্মহত্যা করতে পারেন না এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। স্ত্রী ও সন্তানের অতিরিক্ত অর্থ চাহিদা ও চাপ ছিলো তার উপর। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আত্মহত্যার ঘটনা হলে আঘাত থাকতো না। তার ভাইকে আত্মহত্যার প্ররোচনাও দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করার দবি করেন।
নিহতের ছেলে পিতুল ওয়াসিফ বলেন, বাবার কাছে থেকে টাকা নিয়ে তিনি ট্রাকের ব্যবসা করতেন। কিন্ত ব্যবসায় লোকসান হতে থাকলে তার বাবা ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা এবং এনজিও থেকে বেশ কিছু টাকা ঋণ নেন। তার চাচা রাজুর কাছ থেকেও সুদে ৬ লাখ টাকা ঋণ নেন বাবা। তিন লাখ টাকা শোধ করলেও বাকী টাকা শোধ করতে পারেননি। এ নিয়ে চাচা রাজু তার বাবাকে চাপ দিচ্ছিলেন। ঘটনার দিন বুধবার তার বাবার চাচাতো ভাই রাজু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবার কর্মস্থলে যান এবং টাকা নেওয়ার জন্য বসে থাকেন। বাবার উপর ব্যাংকের চাপ ও সুদখোর চাচার চাপ না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতো না।
তবে তার রাজু অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার দাবি করে বলেন, সুদ নয় এমনিতেই টাকা ধার নিয়েছিলেন মোস্তাব। সেই টাকার জন্য তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাননি। ভাইয়ের সাথে দেখা করতেই সেখানে গিয়েছিলাম।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, নিহতের পরিবারের এধরনের কোন অভিযোগ থাকলে তারা সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে পারেন। এবিষয়ে নিহতের পরিবার নাটোর পুলিশের কোন সহায়তা চাইলে করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *