সিংড়ায় নদ শুকিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

নাটোর অফিস॥
নাটোরের সিংড়ায় নাগর নদের পানি সেচের মাধ্যমে শুকিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলাম পুটুর বিরুদ্ধে। নাগর নদের হরিপুর ও হিয়াতপুর এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে একদিকে যেমন কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া ও গরু-মহিষের গোসলে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে নদী শুকিয়ে মাছ ধরার কারনে জীববৈচিত্র্য ও দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম পুটুর নেতৃত্বে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি নাগর নদের এক পাশে বাঁনা ও পলিথিনের বাঁধ দিয়ে অন্যপাশে জল মোটর বসিয়ে এই নদী সেচের ব্যবস্থা করেছেন।
রোববার বিকেলে সরেজমিনে উপজেলার নাগর নদের হিয়াতপুর ও হরিপুর সুইচগেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় একপাশে পলিথিন ও বাঁনার বাঁধ নির্মাণ করে নদী পথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অপর পান্তে দুটি জল মোটর বসিয়ে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেখানে নদী পাশের লোকজনের সাথে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে নদের বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ দিয়ে জল মোটরে শুকিয়ে মাছ শিকার করছেন এলাকার সাবেক যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম পুটু ও তার

লোকজন। এতে নদীতে তাদের গরু-মহিষের গোসল বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে পারছেন না।
চলনবিল রক্ষা আন্দোলন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, এভাবে নদী শুকিয়ে মাছ ধরার ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের শুন্যতা ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
এব্যাপারে যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম পুটুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কি›তু তার সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, নদী শুকিয়ে মাছ ধরা অন্যায়। দ্রুত বাঁধ অপসারণের আশ^াস দেন তিনি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, নদী শুকিয়ে মাছ শিকারের খবর পেলেই তারা অভিযান পরিচালনা করছেন। তাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *