টাকার জন্য ওমান প্রবাসীকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ

নাটোর অফিস ॥
নাটোরে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার জন্য মোঃ মহিউদ্দিন সরকার (৫৬) নামে অসুস্থ এক প্রবাসীকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তারই খালাতো ভায়রা ভাই মোঃ নিভেল এর বিরুদ্ধে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করায় প্রবাসীর কন্যাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে। নির্যাতিত ওমান প্রবাসী মোঃ মহিউদ্দিন সরকার নাটোরের পাশর্^বর্তি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীর বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে মহিউদ্দিন সরকার নাটোরের সাংবাদিকদের জানান, তিনি দেশে আসার পর রেলওয়ের বড় পুকুর লিজ নেয়ার কথা বলে তারই খালাতো ভায়রা ভাই নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দোবিলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ নিভেল প্রথমে তিন লাখ টাকা ধার নেয়। পরে টাকার জন্য চাপ দিলে গত ৬এপ্রিল মোঃ নিভেল এবং একই গ্রামের হাফিজ ও জুবায়েরসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে একটি নোহা মাইক্রোবাসে করে পৌনে তিনলাখ টাকাসহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে তাকে হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে নেশা জাতীয় কিছু

শুঁকিয়ে অচেতন করে রাখা হয়। জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখতে পান পদ্মা নদীর চরে বালির মধ্যে প্রায় নগ্ন অবস্থায় তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। এক পর্যায়ে কোন টাকা দাবী না করার শর্তে রাতের বেলা একই গাড়িতে করে তাকে নিজ বাড়ির সামনে এনে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে চলে যায়। অনেক অনুরোধ ও চাপের পর নিভেল তিন দফায় ৭০ হাজার টাকা তার ভায়রাকে ফেরতও দিয়েছে। পরে বাকী টাকার জন্য আবারো চাপ দিলে গত ২৫ এপ্রিল নিভেল তার বাড়িতে ভুক্তভুগিকে দাওয়াত করে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার পকেটে থাকা আরো ৭০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় প্রকাশ্যে সকলের সামনে প্রবাসীকে মারপিট করে ভবিষ্যতে আর টাকা চাইলে তাকে ও তার সন্তানকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে নিভেল ও তার সহযোগীরা তাকে তাড়িয়ে দেয়। পরের দিন এ সব বিষয়ে প্রতিকার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত মোঃ নিভেলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিভেল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন। উপরুন্তু ওমান প্রবাসি তার ভায়রা ভাই মোঃ মহিউদ্দিন সরকারের কাছে তিনিই টাকা পাবেন বলে দাবি করেন। আত্মীয়তার কারনে মোঃ মহিউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে তিনি কোন অভিযোগ করেননি। পাওনা টাকা চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি শফিউল আযম খাঁন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *