মোবাইলে প্রেম, অতঃপর…..

নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে সোনিয়া খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধুকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের মাঝগাঁও হাদিসমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী লিটন হোসেনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের উদ্বৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, মাঝগাঁও হাদিস মোড় এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী লিটনের সাথে বছর পাঁচেক আগে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক হয় মাদারীপুর সদর থানার থানতুলি গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে সোনিয়ার। সেই প্রেম পরে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। মাদকাসক্ত লিটন বিয়ের পর থেকেই সোনিয়াকে মারপিট করতেন। এর মাঝেই আমীর (৪) ও আবীর (২) নামে দু’টি ছেলে সন্তান আসে তাদের ঘর জুরে। সেই সন্তানের মায়ায় শতগঞ্জনা সহ্যকরে যাচ্ছেলেন সোনিয়া। কিন্তু তবু শেষ রক্ষা হলো না। শনিবার সকালেই তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জের ধরে ব্যাপক মারপিক করে। এসময় সোনিয়া ঘটনা পুলিশকে জানাতে চায়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার-হাতপা বেঁধে পিটায় তাকে।একপর্যায় সোনিয়াকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে বনপাড়া বাজার থেকে লিটনকে আটক করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লিটনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গলাটিপে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *