বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্র ও যুবলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ

নাটোর অফিস॥
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া নাটোরে বিএনপির পুর্ব নির্ধারিত সমাবেশ শান্তিপুর্নভাবে শেষ হলেও ছাত্র ও যুবলীগের বিরুদ্ধে বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। পথে পথে ছাত্র ও যুবলীগ কর্মীদের বাধা ও মারধরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এদের বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে জেলা আওয়ামীলীগ। সোমবার সকালে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শহরের উপশহর মাঠে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ উদ্দোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রিয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রিয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী ও জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য সাবিনা ইয়াছমিন ছবি। পৌর বিএনপি’র আহবায়ক এমদাদুল হক আল মামুন এর সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, সদস্য শহীদুল ইসলাম বাচ্চু, অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন টগর, সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, রফিকুল ইসলাম মাষ্টার,জিল্লুর রহমান চৌধুরী বাবুল,ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারী প্রমূখ।

এদিকে এই সমাবেশকে ঘিরে সোমবার সকাল থেকে উত্তেজনা দেখা দেয়। জেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সভাস্থলে আসতে শুরু করে। বেশ কিছু এলাকা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকে। কিন্তু ছাত্র ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা পথে পথে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশী সহ তাদের মারধর করে। শহরের মুসলিম ইনস্টিটিউটের সামনে এক বৃদ্ধসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্র ও যুবলীগ কর্মীরা। এ সময় বিএনপি কর্মীদের মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে হামলার শিকার কর্মীরা চিকিৎসা নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। বেলা ১১ টার দিকে ছাত্র ও যুবলীগ নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থল এলাকায় এলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ অভিযোগ করে বলেন, ছাত্র ও যুবলীগ কর্মীরা পথে পথে ইজি বাইক সহ বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে তল্লাশী সহ বিএনপির নেতা কর্মীদের মারপিট করেছে। এছাড়া মিছিলের ওপরও হামলা করা হয়। এতে বিএনপির প্রায় ৫০ নেতা কর্মী মারপিটের শিকার হয়েছেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বিএনপির অভিযোগকে মিথ্যা ,ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবী করে বলেন, সোমবার পুর্ব ঘোষনানুযায়ী জেলা ছাত্রলীগের একটি কর্মসুচী ছিল। বিএনপির নৈরাজ্য, সরকার পতনের ধুয়া তুলে তারা দেশব্যাপী যে তান্ডব শুরু করেছে তার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ এই কর্মসুচী পালন করে। তারা সুষ্ঠভাবে কর্মসুচী পালন শেষে যার যার অবস্থানে ফিরে যায়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, বিএনপির সমাবেশে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *