সৌদি প্রবাসী হারুনের সন্ধান চায় পরিবার

নাটোর অফিস॥
দারিদ্রতাকে পাশকাটিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে শিশু ছেলে-মেয়েকে রেখে বেশি টাকা উপার্জন করতে ২০০৭ সালে সৌদি আরবে যান হারুন অর রশিদ (৪৩)। প্রবাসে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাতে থাকেন। আর সেই টাকায় বৃদ্ধা মা, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সুখেই কাটছিল দিন। হঠাৎ তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। হারুন অর রশিদ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার মালিপাড়া এলাকার মৃত ইউছুব আলী ব্যাপারীর ছেলে।
হারুনের বড়ভাই আল-আমিন বলেন, গত ২৫ আগস্ট সৌদি থেকে অচেনা একজন ফোনে জানায় হারুন গ্যাস বিস্ফোরনে নিহত হয়েছেন। পরে পরিবারের লোকেরা হারুনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পায়। এসময় তার সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করলে কেউ সঠিক কিছু জানাচ্ছে না। কেউ বলছে মারা গেছে আবার কেউবা বলছে কোম্পানি থেকে পালিয়ে গেছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধু¤্রজাল। গত ১৭ দিনেও হারুনের সঠিক কোন তথ্য মেলেনি। সে কি বেঁচে আছে না মরে গেছে ? এ বিষয়ে জানতে কম্পানির সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হচ্ছে না।
হারুনের ছেলে পারভেজ বলেন, বাবা গত ১৫ বছর যাবৎ সৌদির আভকিক শহরের সাদ আলী আল এশা নামের একটি কম্পানিতে কাজ করতেন। অনেক চেষ্টার পর শনিবার একবার কস্পানির লোক ফোন ধরে শুধু বলেছে “ইউর ফাদার ইজ লষ্ট” আর কোন কথা হচ্ছে না।
হারুনের স্ত্রী পারভীন বলেন, আমার স্বামী যদি মরেই যায় তাহলে অন্তত লাশটি ফেরত দিক কম্পানি। আমি লাশ দেশে ফেরৎ আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি।
পরিবার সুত্রে জানায়ায়, কয়েক বছর আগে ছুটি কাটিয়ে সৌদি আরবে ফিরেন হারুন। গত কোরবানির ঈদে একেবারে দেশে চলে আশার কথা ছিলো।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সৌদি সরকারের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত হারুনের সন্ধান করে দেশে আনার অনুরোধ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *