
নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ডিবি) মোঃ সৈকত হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আঞ্চলিক পাসপাের্ট অফিসের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে রোববার দুপুরের দিকে আটক করা হয়। তাকে গতকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও আবেদন ফরমে লেখা তথ্যের বাহিরে কোন কিছু বলতে পারছেন না। আবেদন ফরমে তার নাম সোমা খাতুন এবং বাবার নাম বদির উদ্দিন, গ্রাম দুর্গাপুর, থানা-লালপুর, জেলা নাটোর পরিচয় দিয়েছেন। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে আটক নারী রেহিঙ্গা এবং তার সাথে বাবাসহ আরো দুইজন রোহিঙ্গা ছিলেন। তারা আহম্মদপুর এলাকার দুইজন দালালের মাধ্যমে লালপুর এলাকায় অবস্থান করে পাসর্পোট করার চেষ্টা করেছিলেন। তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলেই আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
নাটোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের হকারী পরিচালক মানিক চন্দ্র দেবনাথ জানান, আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সময় তাকে নাম পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু তিনি কিছুই বলতে পারছিলেন না। বিষয়টি সন্দেহ হলে র্দীঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে কোন সুদউত্তর দিতে পারেননি। এসময় তার সাথে থাকা অপর দুইজন পুরুষও দ্রুত সটকে পড়ে। পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পাসর্পোট অফিসে আসেন। এসময় ওই নারীকে তাদের কাছে সোর্পদ করা হয়। তবে নারী নিজেকে সোমা খাতুন, পিতা- মোঃ বদিও উদ্দিন, গ্রাম-দুর্গাপুর, পোঃ-গোপালপুর, থানা-লালপুর, জেলা-নাটোর পরিচয় দিয়ে পাসর্পোট করার জন্য আবেদন করেছিলেন।



