আহম্মদ আলী মোল্লা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে চান

 

নাজমুল,নাটোর অফিস॥
গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হতে চান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহম্মদ আলী মোল্লা। আগামী ৯ অক্টোবর(সম্ভাব্য তারিখ) গুরুদাসপুর উপজেলা শাখা’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই ব্যপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে আওয়ামীগের হাইকমান্ডের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। সার্বিক আহম্মদ আলী মোল্লা’ বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সৎ যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি দলে অনুপ্রবেশকারী নয়। ছাত্রজীবন থেকে সততার সঙ্গে রাজনীতি করে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক এবং কোন অপরাধের সাথেও কোনদিন জড়াইনি। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১১-২০১৩ তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচীত করেছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির সদস্য হিসেবেও নির্বাচীত করেছেন। ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড যেমন ব্যক্তিত্ব খুঁজছেন; আমি মনে করি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি যোগ্য। স্বাভাবিকভাবে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতেই পারি।
তিনি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে চাই। আওয়ামী লীগে হাইব্রির্ড অনুপ্রবেশকারীরা ভরে গেছে। প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দিতে চাই। দলকে সু-সংগঠিত করতে যা করা প্রয়োজন তার সর্বোচ্চটা করতে চাই।
আহম্মদ আলী মোল্লা বলেন, প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক জীবন। একটা দিন একটা মুহুর্তও দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাইনি। নাটোর-৪ আসন (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। দলীয় মনোনয়ন দুই দুই বার না পেয়েও নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছি। নৌকা মার্কাকে জয়লাভ করিয়েছি। ১/১১ শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছি। নিজের জীবন বাজি রেখে জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের তান্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছি। আওয়ামী লীগের দুঃস্বময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। এখনও দলকে সু-সংগঠিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে রাখছেন অভাবনীয় ভূমিকা। বানভাসি মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন,দাঁড়িয়েছেন ঈদের দিনে ঈদের মাংশ নিয়ে। করোনা মহামারীর সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দিয়েছেন নগদ অর্থ ও খাবার। দিয়েছেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। শীতার্থ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করেছেন কম্বোল বিতরণ। এক কথায় অসহায় হত দরিদ্র মানুষের পাশে সার্বক্ষনিক পাশে থাকেন।
নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের মধ্যবিত্ত্ব পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। ধারাবারিষা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে (১৯৯৮-২০১৫) সালে প্রথম রাজনীতিতে পদবী পান। (২০০৩-২০১৮) সালে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন ধারাবারিষা মুজিবসেনা সংঘে। (২০১১-২০১৩) তে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং (২০১১-২০১৩) তে এসে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক(সাংগঠনিক বিভাগ খুলনা) হিসেবে এবং রাজশাহী মহানগর ঘাতক নির্মূল কমিটির সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলার ধারাবারিষা স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করে। একই উপজেলার বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা ডিগ্রি কলেজ বর্তমানের বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা বিশ^বিদ্যালয় থেকে এইচ.এস.সি পাশ করে এবং রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *