ঘোড়ায় চড়িয়া ধান ডাঙ্গায় উঠিল!

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর॥
অতিবর্ষণে এবারও পুড়েছে কৃষকের কপাল। শত শত একর জমির ধান ডুবে আছে চলনবিলের পানিতে। কারো ধান ডুবেছে সবই, কারো আবার অল্প। কষ্টের আবার পানিতে ডুবলেও ওটুকুই তুলতে চলনবিলের কৃষকের চেষ্টা প্রাণান্ত।

বৃহষ্পতিবার ভোরে থেকে চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর, চৌগ্রাম ও ডাহিয়া ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় এমন দৃশ্য। কৃষক কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তলিয়েছে তাদের সোনাধান। অতিবর্ষণে পরপর দুবার এমন ফসলহানিতে দিশেহারা তারা।

সিংড়ার ডাহিয়া ইউনিয়নে তাড়াঁশ-বারুহাস সংলগ্ন রাস্তার পাড়ে চোখে পড়ে কৃষকদের দূর্দশার করুণ চিত্র। দেখা যায়, কৃষকরা দূরের বিল থেকে নিমজ্জিত ধান কেটে ঘোড়ার গাড়িতে করে তুলে রাস্তায় উঠছেন। একই সময় দেখা গেল মহিষের কয়েকটি গাড়ি বিলের মাঝামাঝি যেতে কাটা ধান আনার জন্য। গাড়িতে বহনকরা ধানগুলো বিলের পাশের রাস্তায় নামিয়ে রাখছেন কৃষকরা। ধানগুলো রাস্তার পাশে শুকনো স্থানে জমিয়ে রাখা হচ্ছে। গত দুইদিনে কর্তনকৃত ধানগুলো রাস্তার পাশেই শুকিয়ে মেশিনে মাড়াই করছেন উদ্বিগ্ন কৃষকরা। তাদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ।

আবু হানিফ নামের এক কৃষক বলেন, গতবছর অতিবর্ষণের পর ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্থানীয় কাটাগাং খালটি খনন করার। তার প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

মূলত, বেরবাড়ি-সোনাপাতিল খাল দিয়ে উত্তরাঞ্চলের পানি ঢুকছে সিংড়ায় বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা।

সিংড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, সমগ্র সিংড়ায় ৩৮ হাজার ২০০ হেক্টর বোরো আবাদের মধ্যে ১০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ ও ৫০ হেক্টর জমির ধান আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। শতকরা ৮০ ভাগ পাকলেই কৃষকদের ধান কাটার জন্য বলা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *