লালপুরে নিয়মবহির্ভুতভাবে বিদ্যালয়ের ৫ লাখ টাকার গাছ কর্তনের অভিযোগ

নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুর উপজেলার নান্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নিমার্ণের জন্য নিয়মবহির্ভুতভাবে পার্শ্ববর্তি নান্দরায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) এই গাছ কাটার ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে ওই দিন বিকেলে নান্দরায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । এ অভিযোগের অনুলিপি লালপুর উপজেলা পরিষদ, জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা বনকর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রদান করা হয়।
তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘নান্দরায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমির উপর নান্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান করার জন্য বিদ্যালয় চত্বরের বড় বড় গাছ অনৈতিকভাবে কেটে ফেলার লক্ষ্যে বুধবার দুপুরে এক জরুরী সভার আয়োজন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। এঘটনার পরের দিনই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান শ্রমিক লাগিয়ে ছোট বড় ৮টি মেহগনি গাছ কাটতে শুরু করেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। অভিযোগে তিনি আরো বলেন, ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেও আমার উর্দ্ধতন কোনো কর্মকতাকেই এ বিষয়ে অবহিত করা হয়নি। এমনকি আমাকেও তারা বিষয়টি জানায়নি। ’
নান্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘অন্য প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার হুকুম দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমি এখানে চাকুরী করতে এসেছি। আমি কেন গাছ কাটার হুকুম দেব। যারাই কাটুক সেটা নিয়মবহির্ভুতভাবে কেটেছে।’
উপজেলা একাডেমিক সুুপারভাইজার সাদ আহম্মেদ শিবলী জানান, ‘যেহেতু বর্তমানে নান্দরায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটি স্থগিত আছে। সেহেতু প্রধান শিক্ষক তো আর বিদ্যালয়ের জমি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দান করতে পারবে না। নিয়মভঙ্গ করে গাছ কাটার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। কারা গাছ কেটেছে সে বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার আলী জানান, ‘বিষয়টা নিতান্তই শিক্ষা অফিস আর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির। তারা সব কিছু ঠিকঠাক করলে ইঞ্জিনিয়ার অফিস কাজ করবে নয়তো করবে না।’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ‘ এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *